This site uses cookies, as explained in our terms of use. If you consent, please close this message and continue to use this site.
Izabella Koziell & Pema Gyamtsho
0 mins Read
এটি স্পষ্ট যে, লিঙ্গ-ভিত্তিক অবিচার কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হওয়া, এ সম্পর্কিত নৈতিক অবনয়ন যেকোন কর্ম প্রক্রিয়ার জন্য নেতিবাচক ফলাফল তৈরি করে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতি আনয়নে নারীদের জন্য বিনিয়োগ বিশেষ গুরুত্ব রাখে। বিশেষত; যেসকল বিষয়ের ওপর ইসিমোড কাজ করছে; যেমন – উন্নয়ন, বিজ্ঞান, জলবায়ু এবং প্রকৃতি ইত্যাদি।
সদ্য প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সের গবেষণায় দেখা গিয়েছে; লিঙ্গ সমতা আর্থ-সামাজিক বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে তোলে। কেবল ভারতেই, লিঙ্গ সমতা আনয়ন মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭৭০ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে এবং বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) যার পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলারে। এ ধরনের অর্থনৈতিক প্রণোদনার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, হিন্দুকুশ হিমালয়ের আটটি দেশের মধ্যে লৈঙ্গিক সমতা আনয়নে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা রয়ে গিয়েছে।
জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। অপরদিকে, নেপাল রয়েছে ৫৪ তম অবস্থানে, ভারত ৫৯, পাকিস্থান ৯৫, চীন ১১৪, ভুটান ১২৫, মায়ানমার ১৪১ এবং আফগানিস্তান ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে।
ইসিমোড প্রণীত ২০৩০ এর কর্মকৌশলে লৈঙ্গিক সমতা একটি প্রধান বিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত। লিঙ্গ বৈষম্যের প্রবণতাগুলো নিরসনে সদস্য দেশ এবং কমিউনিটির মানুষকে ইসিমোড সাহায্য করছে। নিজস্ব কর্ম-পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে নারী গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, কিশোর-কিশোরী, আদিবাসী নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে আরো শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে ইতিবাচক কাজগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে ইসিমোড। নানামুখী কর্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারীদের ভূমিকা প্রচার করছে; যা তাদের পেশা নির্বাচন, নিজের বক্তব্য প্রচার এবং লিঙ্গ-ভারসাম্য নিশ্চিতে সহায়তা করছে।
নিয়োগ, পদোন্নতি এবং প্রশাসনিক কার্যাবলীতে সমতা বাড়াতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিশেষত; সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পেশাদারীত্ব, নেতৃত্বের অবস্থানে এবং সকল কর্মী স্তরে লিঙ্গ-সমতা, বৈচিত্র্য এবং প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উপর বিশেষ নজর দিচ্ছি।
ইসিমোডের সকল কর্মকাণ্ডে লিঙ্গ-সমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যে, তথ্য এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে নারী উদ্যোক্তা, ব্যবসায় এবং প্রান্তিক নারীদের সহায়তা করছি। ইসিমোড নারীদের দক্ষতা এবং অন্তর্দৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও কর্ম পরিকল্পনার উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে সদস্য দেশের সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিশেষ ও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
একটি অঞ্চল হিসেবে সামগ্রিকভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
নারী এবং কিশোরীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব নানা গবেষণায় উঠে এসেছে। দেখা গেছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ২০ লক্ষ মেয়ে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়বে কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। একই সময়ে প্রায় ১৬ কোটি নারী দারিদ্রে পতিত হবে এবং ২৩ কোটি ৬০ লক্ষ নারী খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগবে।
অপর্যাপ্ত আর্থিক প্রবাহ এবং সঠিক নীতির অভাবে লৈঙ্গিক অসমতা এবং অবিচার আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক তহবিলের মাত্র ০.০১ শতাংশ ব্যয় করা হয় জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর অগ্রাধিকারকে ত্বরান্বিত করে এমন সকল কর্মসূচী ও প্রকল্পে। বিশ্বব্যাপী জাতীয় জলবায়ু কৌশলগুলোর ২ শতাংশেরও কম – নারী এবং মেয়েদের বিভিন্ন চাহিদাকে বিবেচনা করে প্রণয়ন করা হয়। ফলে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্ব উদ্বেগজনক হারে কমে যাচ্ছে। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন বা কপ২৭ – এ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ৬ শতাংশ ছিলেন নারী, কপ২৮ – এ যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ১০ শতাংশে। এবছর কপ-এর আয়োজক কমিটিতে ১২ জন নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। যা আগে পুরোটাই ছিলো পুরুষের প্রতিনিধিত্বে।
কয়েক দশকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অর্থনীতিতে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলে এবং পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। এর মধ্যে দিয়ে একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরি হয়, যার সাথে দারিদ্রতা নিরসনের প্রভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নারীর আর্থিক অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে মনে করেন।
নিজের আয়ের উপর নারীর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য নীতির প্রবর্তন করে সরকারগুলো লিঙ্গ-সমতা অর্জনে বৃহত্তর পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে। ভারতের মধ্য প্রদেশে নারীদের উপার্জন সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারে নারীদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছিলো। এ সিদ্ধান্তের ফলে, ঘরের বাইরের কাজে নারীর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছিলো এবং নারীর কর্মসংস্থানে পুরুষের ইতিবাচক ভূমিকা দেখা গিয়েছে।
গেটস ফাউন্ডেশন মনে করে, যদি কৃষি সম্পর্কিত তথ্য ও সরঞ্জামে নারী কৃষকরা অগ্রাধিকার পায় তাহলে, অ-কার্যকরী খামারগুলো ৩০ শতাংশের বেশি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সক্ষম হবে। যা, অসংখ্য নারীদের দরিদ্রতার হাত থেকে রক্ষা করবে।
সময় এসেছে, বহু সংকট সমাধানে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করার। আমরা, হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলজুড়ে সমস্ত পরিসরে এবং সকল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক প্রতিভা, দক্ষতা ও মেধায় বিনিয়োগের আহবান জানাই। আর সময় নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নেই।
Share
Stay up to date on what’s happening around the HKH with our most recent publications and find out how you can help by subscribing to our mailing list.
It has been absolutely delightful to see the response and acceptance, across the board, of the Hindu Kush Himalaya Assessment ...
November has been an eventful month for transboundary cooperation on climate change, with COP27 taking centre stage. With optimism about ...
Himalayan countries can look to the Arctic Council, Alpine Convention and the Carpathian Convention to build multilateral cooperation mechanisms, advises ...
Frequently, from all across the Hindu Kush Himalayas, we hear disturbing stories of forest fires, devastating floods, drying springs, loss ...
ICIMOD staff are all safe. Some had minor injuries, several experienced severe damage to their homes, while others experienced tragedy ...
As the world gathers in Stockholm for World Water Week, we do so in the shadow of a paradox: WATER, ...
March 14, 2025 — Today, on the International Day of Action for Rivers, let us recognise and celebrate the ...
On this first-ever World Glacier Day, we are reminded of an undeniable reality: the glaciers of the Hindu Kush Himalaya ...